I do not understand so much love us. অাকাশ:'এই তুমি, অামাকে
পাগল বলে ডাকো কেন?
কেয়া:'একশো বার ডাকবো,
তাতে তোমার কী?
অাকাশ: না তাতে অামার
কী হবে, কিছুই হবে
না। 'কেয়া:অাচ্ছা, তোমাকে
পাগল বললে, তুমি রেগে
যাওনা কেন?
অাকাশ:'রাগের কী অাছে,
এমনিতেই রাগি না।
কেয়া:'না, তুমি কিছু
অাড়াল করছো "সত্যিটা বলো?নাইলে কিন্তুু
এক্ষণি চলে যাবো হ্যাঁ।
অাকাশ:'লুকোচুরি করার কী অাছে
এখানে।তোমার মন চায়, তাই
তুমি অামায় পাগল বলে
ডাকো।
কেয়া:'হুম, তোমার কথা
ঠিক অাছে।' 'কিন্তুু,কখনো তুমি রেগে
যাওনা কেন?' 'তুমি একটা
সুস্থ মানুষ,অথচ অামি
তোমার দিব্বি পাগল বলে
যাচ্ছি।''অামি যদি অন্য
কাউকে শুধু একবার পাগল
বলতাম , তাইলে তো সারছিলো
অামার বারোটা বেজে যেতো।''অথচ তুমি সদা
নীরব-নীস্তব্ধভাবেই হাসি মুখে বরণ
করে নিচ্ছো। 'কারণটা কী জানতে
চাই?
অাকাশ:'কী বলবো বলো?
কেয়া: 'যেটা সত্যি সেটাই
বলবে
অাকাশ:' সত্যি বলতে কি,
তুমি যখন 'পাগলটা'বলে
অামায় ডাকো, তখন অামার
অনেক ভালো লাগে।' 'কারণ,পাগল তো একজনেই
ডাকতে পারে, পাগল ডাকার
অধিকার তো সবার থাকে
না।মনে মনে সব সময়
ভাবতাম,ইস! যদি কেউ
অামাকে অাদর করে, নিজের
মতো করে পাগলটা বলে
ডাকতো! 'অাজ সেই স্বপ্নটা
অনেকটাই সত্যি হলো। 'কারণ,তুমি তোমার মতো
করেই অামাকে ভালোবেসে 'পাগল একটা' বলে
ডাকো।''তুমি যতোই এ
নামে অামায় ডাকো, ততোই
অামার ভালো লাগে।'কোকিল
ডাকে মধুর সুরে কুহুকুহু
গাছের ডালে,কোকিলের ডাক
যায় যে থেমে তোমার
মধুর ডাক শুনলে।
কেয়া: 'হুম,হইছে -হইছে,
অার বলতে হবে না।'
'অাসলেই তুমি একটা পাগল।'
'এতদিনে বুঝতে পারছি,কেন
তুমি রাগ করো না।
'দাঁড়াও অাজকের পর থেকে
অার ডাকবো না, হুম!'
তবে সত্যি অামি না,
তোমাকে বুঝতে পারি না।'
'তুমি অাসলেই একটা 'শয়তান'
কখনো কোনকিছু ধরা দাওনা।
অাকাশ: 'অামি শয়তান না?'
'ঠিক অাছে, অামি চললাম
অাকাশ একটু মজার ছলে
বললো!
কেয়া: 'হুম,শয়তান-ই
তো।' 'সত্যি -সত্যি পাগল
একটা।
এই বলে কেয়া অাকাশকে
জড়িয়ে ধরলো,অাকাশও কেয়াকে
শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।'
'তারপর কী অার হবে?
'ছবির মতো ৩ মিনিট
বিরতি চলছে...দু'জনার
মাঝে।কোন অাওয়াজ শুনা যাচ্ছে
না, শুধু নিঃশ্বাসের মৃদু
মৃদু অাওয়াজ ভেসে অাসছে।'
'চারিদিকও যেনো ওদের অালিঙ্গন
দেখে নীরব হয়ে গেলো।'
'ওরাও যেনো 'অাকাশ কেয়ার
'মতো বিরতি পালন করছে।
'.বিরতি শেষে অাকাশ:' হায়,
হায়,হায়! একি করছো?খাইছে অামারে
'কেয়া: 'কী হইছে? ওমন
করে চিৎকার দিলে যে।
'অাকাশ: 'দেখো অামার টি-শার্টের কি হাল ইইছে?
তোমার সব লিপিস্টিক অামার
টি-শার্টের গায়। ' 'অাকাশ মনে মনে
মুখের না জানি কী
অবস্তা!
'এখন কীভাবে বাসায় যাবো,রাস্তায় বা কীভাবে হাটবো!'
কেয়া:' কী করছি হ্যাঁ?'
'
কেয়া তো লজ্জায় শেষ!
' ' তবুও লজ্জা ভেঙ্গে বলছে,হইছে -হইছে নিজের
ঠোঁটেও লিপিস্টিক থাকলে অামার একি
হাল হতো।'"
শর্ট টাইম বিরতি তাতেই
এই"অাসলে সত্যি কারের
ভালোবাসার মোহনায় যখন
দু'জনার দুটি মন
হারিয়ে যায়,তখন সবকিছুই
মনে হয় ভুলে যায়।ঠিক
তেমনি অাকাশ কেয়াও হারিয়ে
গেছে।ভালোসাতো এমনি হয়,মাঝে
মাঝে দু'জন দু'জনার মাঝে হারিয়ে
যাবে স্বপ্ন থেকে স্বপ্নলোকে।
অাকাশ: 'মোবাইলের স্কীনে তাকিয়ে দেখে,
টি-শার্টের মতো একি অবস্তা।
'
কেয়া: 'অাকাশের দিকে তাকিয়ে বলতেছে,স্যার চিন্তা করেন
ক্যান?' 'মুছে দিতেছি।'এই
বলে টিস্যু দিয়ে অাকাশের
মুখের সব লিপিস্টিকের দাগগুলো
মুছে দিলো।' 'এবার হইছে তো?
'
অাকাশ: 'না, হয়নি!
কেয়া: 'কী হয়নি?
'অাকাশ: 'পারলে অার একটা
দাও!
কেয়া: 'তুমি না, না
কিছু না! ' 'এই বলে
কেয়া তার বেনিটি ব্যাগ
থেকে একটা টি-শার্ট
বের করলো।অাকাশ: 'টি-শার্ট দেখে
অভাক হয়ে গেলো!' এই
তুমি,টি-শার্ট পেলে
কোথায়?
কেয়া: 'চুরি করছি! ' 'মজা
করে বলছে!
অাকাশ: 'কী বলো?'
কেয়া: 'হুম,ঠিক-ই
তো বলছি! 'কেন টি-শার্ট কোথায় পায়,
তা তুমি জানো না
বুঝি? 'অাকাশ:'হুম,জানিতো
দোকানে।
'কেয়া: 'তাইলে প্রশ্ন করছো
কেন?' 'কাল বান্ধবীরা মিলে
মার্কেটে গেছিলাম,তখন এই টি-শার্ট পছন্দ হলো,
বাস কিনে ফেললাম তোমার
জন্য।
এখন গায়ের টা খুলে
এটা পরে নাও অার
গায়ের টা খুলে অামাকে
দাও।
অাকাশ: 'বুঝলাম, তোমার টা গায়ে
পড়বো, কিন্তুু অামার গায়ের টা
তোমাকে কেন দিবো?
কেন তুমি গায়ে দিবে
নাকী?
কেয়া:'হুম,অামি গায়ে
দিবো। তা ছাড়া তোমার
গায়ের টা তো অামি
নষ্ট করছি, তাই বাসায়
নিয়ে ধুয়ে দিবো হুম!
অাকাশ: কেয়ার দিকে তাকিয়ে
রইলো কিছুক্ষণ অপলোকে! হঠাৎ করেই বিরতি
ছাড়াই অাকাশ কেয়াকে বুকের
মাঝে জড়িয়ে ধরলো।সত্যি তুমি
অামাকে এত ভালোবাসো অাগে কখনো বুঝতেই
পারিনি!'
কেয়া: 'তুমিই তো অামাকে অনেক ভালোবাসো।' 'কারণ ভালোবাসায় বিশ্বাসটাই অাসল যা তোমার মাঝে অাছে।তা ছাড়া তুমি অামাকেই চাও অন্য কিছু না, যা অামি এতদিনে বুঝে গেছি।বিরতি ছাড়াই কেটে গেলো কিছুক্ষণ"এবার অার দুটি মন নীরব ছিলো না।দুটি মনের অব্যক্ত কথাগুলোই ভালোবাসার মোহনায় হারিয়ে যেতে যেতে বলতে ছিলো।এভাবেই দুটি মনের বাঁধন বিনে সুতোর মালায় গেঁথে যায়।
কেয়া: 'তুমিই তো অামাকে অনেক ভালোবাসো।' 'কারণ ভালোবাসায় বিশ্বাসটাই অাসল যা তোমার মাঝে অাছে।তা ছাড়া তুমি অামাকেই চাও অন্য কিছু না, যা অামি এতদিনে বুঝে গেছি।বিরতি ছাড়াই কেটে গেলো কিছুক্ষণ"এবার অার দুটি মন নীরব ছিলো না।দুটি মনের অব্যক্ত কথাগুলোই ভালোবাসার মোহনায় হারিয়ে যেতে যেতে বলতে ছিলো।এভাবেই দুটি মনের বাঁধন বিনে সুতোর মালায় গেঁথে যায়।
কেয়া: এই অাকাশ,কী
হলো, এভাবেই কী এখানে
থাকবে? নাকী বাসায় যেতে
হবে।
অাকাশ:' হুম,যেতে হবে
তো।' 'কিন্তুু তোমায় ছেড়ে যেতে
মন চাচ্ছে না!
কেয়া: 'হুম, হইছে অার
ন্যাকামি করতে হবে না,এবার ছাড়ো তো।
অাকাশ: 'ওকে, ঠিক অাছে।'
'তাইলে অাজকের মতো চলা
যাক।
কেয়া: 'ওকে,ঠিক অাছে।'
তাইলে চললাম... 'অাল্লাহ হাফেজ'। 'বাসায়
পৌঁছে ফোন দিও। 'অাকাশ:
'ওকে,তুমিও বাসায় পৌঁছে
ফোন দিও। ' 'অাল্লাহ হাফেজ।
একটি কথা সত্যি কারের
ভালোবাসাগুলো এমনি হয়।
মনের সাথে মন মিলে
গেলে,তখন অার কেউ
ধন খুঁজে না।সত্যের জয়
সবখানে যেমন অাছে, তেমনি
ভালোবাসার মাঝেও অাছে।
ভালোবাসার
মাঝেই অামরা বাঁচি
ভালোবাসার
মাঝেই অামরা মরি।
তবুও ভালোবাসাকে অামরা না
ছাড়ি।
মান-অভিমানে হোক না একটু
অাড়ি
ভালোবেসে
তবুও বানাবো স্বপ্নের বাড়ি।
No comments:
Post a Comment