Click here to raed this post Enlish বি:দ্র: সবাইকে অনুরোধ
করব লেখাটি পড়ার পর
নিজেদের হেপাটাইটিস বি আছে কিনা
এটা পরীক্ষা করাবেন খুব বেশি
খরচ হয় না মাত্র ৩০০-৪০০টাকা লাগে
পরীক্ষা করতে।
গোটা
বিশ্বে প্রতি ১২ জনে
একজন! আপনিও হতে পারেন
তাদের একজন! বর্তমান বিশ্বে
প্রতিবছর সারা এতেই বোঝা
যায় কি ভয়াবহ থাবা
বিস্তার করে ভাইরাসগুলো একের
পর এক প্রাণ কেড়ে
নিচ্ছে! ইংরেজী বর্ণমালার প্রথম
পাঁচটি
অক্ষর
দিয়ে
এদের
নাম
রাখা
হয়েছে
যথাক্রমে হেপাটাইটিস এ,বি,সি,ডি
এবং
ই।
এর
মধ্যে
হেপাটাইটিস এ
ও
ই
লিভারে
স্বল্পমেয়াদী প্রদাহ
করে
এবং
হেপাটাইটিস বি,
সি
ও
ডি
দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ
করে।
এজন্য হেপাটাইটিস রোগের
প্রাদূর্ভাব ও
ভয়াবহতা বিবেচনা করে
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থ্যা ২০১০
সাল
থেকে
প্রতি
বছর
২৮
শে
জুলাইকে বিশ্ব
হেপাটাইটিস দিবস
হিসেবে
পালন
করার
ঘোষণা
দিয়েছে। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে
তাল
মিলিয়ে
২৮
শে
জুলাই
বিশ্ব
হেপাটাইটিস দিবস
উপলক্ষ্যে হেপাটাইটিস সমপর্কে জনসচেতনতা তৈরীর
লক্ষ্যে প্রতি
বছর
আমাদের দেশেও
হেপাটলজি সোসাইটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠন
উক্ত
দিবসটি
পালন
করে
আসছে।
মানবদেহের
জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক ভাইরাস “হেপাটাইটিস”এর যত দ্রুত
সংক্রমণ ঘটছে তার ভয়াবহতা
এইডসের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুঃসংবাদ
নিয়ে গোটা মানবজাতির জন্য
হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হেপাটাইটিস বা লিভারের একিউট
এবং ক্রনিক সংক্রমণের জন্য
দায়ী লিভার ভাইরাসগুলো হচ্ছে
হেপাটাইটিস-এ, হেপাটাইটিস-বি,
হেপাটাইটিস-সি, হেপাটাইটিস-ডি
এবং হেপাটাইটিস-ই। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মতে, পৃথিবীতে দুই
বিলিয়ন বা ২০ কোটি
লোক এই সমস্ত ক্ষতিকারক
ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার। এদের মধ্যে
৫০০ মিলিয়ন লোক ক্রনিক সংক্রমিত।
প্রতিবছর সারা বিশ্বে শুধু
হেপাটাইটিস বি ও সি’র সংক্রমণে মারা
যাছে সাড়ে ১০ লাখ
মানুষ। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫
ভাগ নাগরিক হেপাটাইটিস-বি
ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি বাহক। হেপাটাইটিস ‘বি’
সংক্রমণ কি করে হয়:
অনিরাপদ যৌনতা/অবাধ যৌনতা,
একই সিরিঞ্জ, সুঁই বারবার ব্যবহার
করা, শরীরে উল্কি আঁকা,
স্যালুনে ব্যবহৃত ক্ষুর, রেজর, ব্লেড,
কাঁচি হতে হাসপাতালে হেপাটাইটিস
বি আক্রান্তদের পরিচর্যার কারণে, ডেন্টিষ্টের ব্যবহৃত
যন্ত্রপাতি, অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত(অনিরাপদ) যন্ত্রপাতি, সিরিঞ্জ এ মাদক নেয়া,
হেপাটাইটিস ‘বি’ বাহকের সিগারেট,
লালা, তার সংস্পর্শে থাকা,
আক্রান্তের রক্ত নেয়া, নবজাতকের
আক্রান্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা
থাকে মায়ের বুকের বুকের
দুধ থেকে,যদি মা
হেপাটাইটিস ‘বি’ সংক্রমিত থাকেন।
(বাবা মায়ের যেকোনো একজন
আক্রান্ত থাকলে তাদের নবজাতক
আক্রান্ত হতে পারে)
খুব
সহজে বোঝা যায়না ঠিক
কবে ভাইরাসটি মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছে. দীর্ঘদিন বসবাস করে কোনরকম
উপসর্গ ছাড়াই।এক সময় মাথা ব্যথা,
ফ্লু, শীত শীত ভাব,গায়ে প্রচণ্ড জ্বর,
জন্ডিস, লিভার এবসেস, বমি,
পেটের ডান দিকে প্রচণ্ড
বা হালকা ব্যথা বোধ
থাকতে পারে।
উপসর্গ গুলো দেখে
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন। রক্তের HBsAg পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এছাড়াও
উপসর্গ দেখে, লিভারের Ultra Sound, HBs Ag, SGOT, SGPT,
ALT, BILLIRUBIN , AST CT Scan ,Endoscopy ইত্যাদির মাধ্যমেও রোগের জটিলতা নির্ণয়
করা হয়।
সঠিক চিকিৎসা:হেপাটাইটিস ‘বি’ এর শতভাগ চিকিৎসা (treatments for hepatitis) এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, অনেক ক্ষেত্রে নতুন উদ্ভাবিত ঔষধ গুলো ভাল ফল দিছে বলে গবেষকরা দাবি করলেও আপাত কোনও বিশ্বস্ত ঔষধ বাজারে আসেনি। হেপাটাইটিস ‘বি’ আক্রান্তের চিকিৎসা শুরু করবার আগে যেটা নিশ্চিত হতে হয় তা হল ভাইরাসের DNA (পরিমাণ ও ধরন) পরীক্ষা। DNA পরীক্ষা যদি পজিটিভ হয় তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিশ্চিত হয়ে নেন আক্রান্ত রোগীর Portal Hypertension অথবা অন্য কোন জটিলতা আছে কিনা। তার ফাইব্রোসিস পরিবর্তন বা সিরোসিস হয়েছে কিনা, এসোফেগাল ভ্যারিক্স (গলবিলের নিচের অংশে এক ধরনের রক্ত-বাহিত শিরা)এ কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা। সাধারণত লিভার এর পরিবর্তনের(সিরোসিস) সাথে সাথে এসোফেগাল ভেরিক্স গুলো বদলে যায়। রক্তের ক্রমাগত চাপে এই ভ্যারিক্স গুলো ছিঁড়ে গিয়ে রোগীর নাক-মুখ দিয়ে রক্তপাত ঘটতে পারে, এবং রোগীর মৃত্যু হতে পারে। উন্নত বিশ্বে ভ্যারিক্স চিকিৎসায় এক ধরনের কৃত্রিম রক্তনালী (Steosis) তৈরি করে লিভারের অকার্যকর অংশ থেকে রক্তনালী সরাসরি ভ্যারিক্স এ প্রবাহিত করা হয়। বিকল্প হিসেবে আমাদের দেশে EVL বা এসোফেগাল ভ্যারিক্স লাইগেশন পদ্ধতি চালু আছে। তুলনামূলক ভাবে যার খরচ অত্যন্ত কম। মাত্র ১০/১২ হাজার টাকায় ৩/৪ টি ভ্যারিক্স লাইগেশন করা সম্ভব। এরপর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর ডায়াবেটিক বা অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা জেনে নিয়ে রোগীর জন্য থেরাপি নির্ধারণ করবেন। হেপাটাইটিস ‘বি’ এর চিকিৎসায় এখন খাবার ট্যাবলেট বেরিয়েছে যা খুব বেশি ব্যয় বহুল নয়। কার্যকর চিকিৎসা হলো ইন্টারফেরন, পেগালিটেড ইন্টারফেরন আলফা ২-বি বা পেগাসিস। সাথে মুখে খাবার ঔষধ ল্যামিভুডিন, এডিফোভির আর সর্বশেষ সংযোজন টেলবিভুডিন ইত্যাদি।
হেপাটাইটিস ‘বি’ আক্রান্ত রোগীর জন্য কতিপয় টিপস:
যৌন সম্ভোগের সময় কনডম ব্যবহার করুন। কাঁচা সালাদ, ফল-মূল বেশি খাবেন। তেল-চর্বি যুক্ত খাবার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গরু বা খাসির মাংস যেগুলো লাল মাংস হিসেবে পরিচিত এগুলো খাবেন না। লবণ বা সোডিয়াম সল্ট একেবারেই খাবেন না। ভিটামিন বি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যথা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার বেশি খাবেন। প্রতিদিন অন্তত ৪০ মিনিট হাঁটবেন। ব্যায়ামের অভ্যাস করবেন। দিনে একবেলার বেশি ভাত খাবেন না, দুই বেলা রুটি খাবেন। ধূমপান, মদ্যপান নিষিদ্ধ। অযথা কোন মাল্টিভিটামিন খাবেন না। প্রচুর বিশ্রাম নিন। শৃঙ্খলিত জীবন যাপন করুন। পাঠকের উদ্দেশ্যে বলি, আপনি আজ-ই HBsAG পরীক্ষা করে নিন। নিজের এবং পরিবারের সবার। যদি এখনও সংক্রমিত না হয়ে থাকেন তবে অতি দ্রুত হেপাটাইটিস-বি এর প্রতিষেধক টীকা নিন। হেপাটাইটিস ‘বি’ সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ-ই একমাত্র উপায়।
আপনি কি আরও ভাল কিছু পেতে চান? Click here to raed this post Enlish
এখানে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment