Learn how dandruff is originated. মাথার লোমকূপ সমূহতে ময়লা জমে ও ছত্রাকের আবির্ভাবের কারণে হয়ে থাকে এবং খুশকি সমস্যার প্রধান শত্রু হলো ডারমাইট্রিস সেবোরিক। খুশকি সমস্যার প্রাদুর্ভাব ঘটে মাথার ত্বকের উপরের অংশে। রোগটি কর্তৃক আক্রান্ত ত্বকের শুষ্কতা কমে যায় এবং শুষ্ক ত্বকের ছোট ছোট মৃত ত্বক খুসকি তৈরিতে সহায়তা সাধারনত খুশকি একজন মানুষের
বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে বা প্রাপ্তবয়স্ক হবার সময় দেখা যায়। মাথার চামড়ায় খুশকি হলে ছোট ছোট আঁশের মতো মরা চামড়া উঠতে থাকে ফলে মাথার চামড়া চুলকায় এবং চিরুনি দিয়ে যখন চুল আচড়ানো হয় তখন খুশকিগুলি মাথার চুল থেকে ঝরতে থাকে। খুশকি মাথা থেকে কাঁধে বা জামায় পরে একজনের শ্রীহানি ঘটায়। মাথা যখন খুশকিতে আক্রান্ত তখন যদি মাথা চুলকানো হয় তখন ভালো অনুভূত হয় বিধায় খুশকি আক্রান্ত একজন ব্যক্তি সর্বদা মাথা চুলকাতে থাকে এবং তার মাথা থেকে মরা চামড়া ঝরতে থাকে। মূলত আমরা খুশকি বলতে মাথার খুশকিকেই বুঝিয়ে থাকি তবে শুধুমাত্র খুশকির মাত্রা বেশী হলেই শরীরে অন্যান্য অঙ্গে এটার পাদুর্ভাব দেখা যায়। খুশকি অন্যান্য প্রদাহজনিত রোগ এবং এলার্জি ঘটাতে পারে।
যে ১০টি কারনে খুশকির উৎপত্তিঃ
১/ যাদের
ত্বক এলার্জেটিক তাদের খুশকির প্রবনতা
বেশী। সূর্যের
অতি বেগুনী রশ্মি ও
ত্বক এক অপরের সহিত
বিপরীত প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে খুশকি
উৎপাদন করতে পারে।
২/পর্যাপ্ত পরিমান শ্যাম্পু না
করলে মাথার ত্বক অপরিষ্কার
হয়ে পড়ে যা থেকে
খুসকির উৎপত্তি হতে পারে। ৩/ মাথার ত্বকের শুষ্কভাবের কারণে খুশকি হয়ে তাকে। শীতকালে যখন আবহাওয়াতে আর্দ্রতা কম থাকে তখন ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। শীতকালে ঘরের অভ্যন্তরের ঠান্ডা বাতাস এবং ঘরের বাইরের তুলনামূলক গরম বাতাসের ফলে তাপমাত্রার অসামাঞ্জস্যাতার সৃষ্টি হয় এবং সে কারণে গ্রীষ্মকালের তুলনায় শীতকালে খুশকি বেশি হয়ে থাকে।
৪/ কোন ব্যক্তি যদি দিনের বেলায় খুব অল্পবারের জন্য তার চূল আচড়ান তবে তার মাথায় মৃত ছোট ছোট চামড়া গুলি জমতে থাকে এবং খুশকি সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।৫/ খাদ্যভাসের কারণেও খুশকি হতে পারে। মূলত ভিটামিন বি ও জিংক গ্রহণ না করলে খুশকি হয়।
৬/ ম্যালেসেজিয়া নামক এক ধরনের ছত্রাকের কারণে খুশকি হতে পারে। মূলত এই ছত্রাকটি সকলের ত্বকেই কম আর বেশি থাকে। এটি সাধারনত কোন সমস্যার সৃষ্টি করে না। কিন্তু এটির পরিমাণ ত্বকে যখন বেশি হয়ে যায় তখন তা ত্বক থেকে তেল শুষে নেয় এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। ফলে অতিরিক্ত ত্বকীয় কোষ উৎপাদিত হতে থাকে এবং বেশী সংখ্যাক কোষ মৃত হতে থাকে এবং কোষ গুলি মারা গেলে তা চুলের তেলের সাথে মিশে খুশকির সৃষ্টি করে।
৭/ কিছু বিশেষ রোগ যেমন পার্কিন্সন, হৃদরোগ, স্টোক খুশকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
৮/ যারা অপেক্ষাকৃত কম গোসল করেন তাদের মাথা থেকে ময়লা কম পরিষ্কার হয় এবং মরা চামড়া জমে খুশকি হতে পারে।
৯)/ ত্বকের নানা সমস্যা যেমন চুলকানির ফলে যে ঔষধ ব্যবহার করা হয় সে ঔষধের পত্রিক্রিয়ায় খুশকির উদ্ভব হতে পারে।
১০/ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের খুশকি হয়ে থাকে।
এছাড়াও যারা অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন তাদের মধ্যে খুশকির প্রবনতা বেশী। যাদের জটিল রোগ যেমন এইচ.আই.ভি আছে তাদের খুশকি হতে পারে। পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি হলে সেই পানি যদি কেউ ব্যবহার করেন তবে তার খুশকি হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে।
চিকিৎসাঃ
অতিরিক্ত খুশকির জন্য কিটোকোনাজল ও জিংক পাউরিথিন সমন্ময়ে তৈরীকৃত শাম্পু ব্যবহার করা যেতে পারেন অথবা একজন স্কিন স্পেশালিস্ট এর শরাপন্ন হতে পারেন।
অারও জানতে এখানে ক্লিক করুন
1 comment:
nc
Post a Comment