Translate

Search

SK Make Money

Wednesday, June 26, 2019

ক্যাম্পাসের_সেই_ছেলেটি



লেখক 📝 :- দুষ্টু ছেলে (আলাউদ্দিন)
--------+++---------
:-ভিখারির বাচ্চা,,,তোর ভাগ্যটা ভালো বেঁচে গেলি!! 😡😡 (এই বলে কবিতা গাঁড়ি টান দিয়ে চলে গেলো)
:-...😭😭 (মাথায় বাড়ি দেওয়াতে প্রচুর রক্ত পড়তে থাকে,,,একটু আগে কবিতার বাবাকে রক্ত দেওয়াতে শরীর এমনিতেই দুর্বল ছিলো)
:-এই ছেলে,,,তোমার কি হইছে!! (রাস্তার লোকটি)
:-আমি,,, আমি,,,আমাকে 😭😭😭 (মাথায় খুব যন্ত্রণা
হচ্ছে,,,,কথা বলতে পাচ্ছি না)
:-বলো,,,তোমার এই অবস্থা কিভাবে হলো,,,(লোকটি)
:-😭😭😭 (আমার মাথা থেকে অঝরে রক্ত পড়তে থাকে,,,,মাথার ফাটা জায়গায় আবার বারি দিয়ে ফাঁটিয়ে দিলো,,,,খুব কষ্ট হচ্ছে,,,,,চোখে আমি ঝাফসা দেখছি,,,,,কোন কথা বলতে পারছি না😭😭)
:-এই অটো,,,(লোকটি একটি অটো ডাক দিলো)
:-......😭😭😭 (ধীরে ধীরে রক্ত ক্ষরণের জন্য,আমি অঙ্গান হয়ে যাই)
:::;
::;;
তারপর লোকটি আমাকে,,,অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়,,,,,
ত্রিংত্রিত্রিংত্রিংত্রিং,,,,,,, (আমার ফোনে কল আসছে)
::;
(লোকটি আমার পকেট থেকে ফোনটি বের করে ধরে,,,,
:-ওই তুই কোথায়!! এখনো বাসায় ফিরলি না!?  (বাসায় যেতে দেরি হচ্ছিলো বলে টিপু ভাই কল দিলো)
:-আপনি যাকে মনে করছেন আমি সে না!! এটি যার ফোন,,,তার মাথা ফেঁটে গিছে,,, আমি ওকে অটো করে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি!! (লোকটি বললো)
:-কিহ্হ্হ্,,,😟😟 কি হইছে আমার ভাইয়ের? (ভাইয়া)
:-ওর মাথা ফেঁটে গিছে,,,,আপনি হাসপাতালে চলে আসুন!! (লোকটি)
:-কিভাবে হলো? (ভাইয়া)
:-আপনি আসুন,,,বলছি!! (লোকটি)
(তারপর ভাইয়া,,,ঝোরের বেগে আমার কাছে আসতে থাকে)
:::;
::;;
আর এদিকে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,,,,যেখানে একটু আগে এসে কবিতার বাবাকে রক্ত দিয়ে বাঁচালাম,,,আর কবিতা আমাকে মেরে এই হাসপাতালে পাঠালো,,,,,হায়রে দুনিয়ার মানুষ)
:::::
::::
(তারপর ডাক্তার আমার মাথায় ব্যান্ডেজ করে দেয়,,আর ডাক্তার আমাকে দেখেই চিনে ফেলে,,,যে এই ছেলেটি একটু আগে মন্ত্রী সাহেবকে দুই ব্যাগ রক্ত দিলো)
:-কৈই কৈই,,,,আমার ভাই কোথায়? (টিপু ভাই দৌড়ে এসে)
:-আপনি অস্থির হবেন না,,,,,আপনার ভাইকে ডাক্তার ভিতরে দেখছে!! (সেই লোকটি)
:-আচ্ছা,,,এটি হলো কিভাবে,,,,,(ভাইয়া)
:-জানি না,,,,তবে মনে হয় কেও ওকে মেরেছে,,,,কারণ আমি ডাক দেওয়াতে ওর সামনের লোকটি তারাতারি করে,, গাড়ি টান দিয়ে চলে যায়!'
আর আমি ওর কাছে গিয়ে দেখি,,,ওর এই অবস্থা!! (লোকটি)
:-কে মেরেছে! 😡 (ভাই)
:-সেটি তো আপনার ভায়ই ভালো বলতে পারবে? (লোকটি,)
:-হুমমমম,,,,আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ,,, (ভাই)
:-আরে এটি আমার কর্বত্য ছিলো!!
::;;
::;:
:-আরে,,,টিপু তুমি এখানে? (ডাক্তার রুম থেকে বের হয়ে)
:-জ্বি!! ও আমার ভাই!! ও কেমন আছে? (ভাইয়া)
:-কি বলো,,ও তোমার ভাই!!
:-হুমমম,,,
:-ওহো,,,, আর তাছাড়া এখন কোন ভয় নেই,,,,
মাথা থেকে প্রচুর রক্ত পড়ায় অঙ্গান হয়ে যায়,,এখন আমি মাথা ব্যান্ডেজ করে দিছি,,,এখন অবস্থা ভালো আছে,,,,কিছুক্ষণ পর ঙ্গান ফিরবে)
:-ধন্যবাদ,,ডাক্তার!!
:-আরে,,, ধন্যবাদ দিতে হবে না,,,যাও ভিতরে যাও!!
(তারপর ভাইয়া ভিতরে এসে,,আমার ঙ্গান ফেরার অপেক্ষা করতে থাকে)
::::
আমার যখন ঙ্গান ফিরলো তখন দেখি,,,টিপু ভাই আমার পাশে বসে আছে,,,,
:-এই তো ঙ্গান ফিরছে!! তোর এখন কেমন লাগছে?  (ভাই)
:-হুমমমম,,,,একটু ভালো!! (আমি)
:-তোর এই অবস্থা কি করে হলো?
:-বাইক থেকে পড়ে গিছিলাম,,,,( মিথ্যা বললাম,,,সত্য বললে কবিতার সাথে খুব খারাপি হবে)
:-মিথ্যা বলবি না,,,,,ঔই লোকটি আমাকে সব কিছু বলেছে,,,তাই সত্য কথা বল? লোকটি কে ছিলো?
:-.......(এই রে,,,এখন যদি নামটি বলে দিই,,,ভাইয়া তো খুব রেগে যাবে,,,এমনিতেই যে রেগে আছে,,,আমি চাই না,,,কোন জামেলা হোক)
:-কি হল বল?
:-আগে বল!! নাম শোনার পর,,তুমি তাকে কিছু বলবে না?
:-কিছু বলবো না,,,তবে তার সাথে অনেক কিছু করবো? তুই বল?
:-নাহ্,,,কিছু করাও যাবে না!!
:-কিহ্হ্,,,বলিস!! তোকে মেরেছে আর আমি ওকে ছেঁড়ে দেবো,,,কখনোই না!!
:-প্লিজ,,ভাইয়া!! তুমি বলো তুমি কিছু করবে না?
:-আচ্ছা,,,বলবো না,,,,তুই বল?
:-সত্যি তো!
:-হুমমম,,,,সত্যি!!
:-ও কবিতা ছিলো!"
:-কিহ্হ্,,,আবার ঔই বেয়াদব মেয়েটা!!  ওকে তো আমি 😡😡😡
:-ভাইয়া,,,তুমি কিন্তু বলছো,,,তুমি কিছু বলবে না!
:-তাই বলে কিছুই বলবো না!!
:-হুমমম,,,না কিছুই বলবে না!! আমি চাই না কোন গোলমাল হোক!!
:-ধুরররর!! 😡😡
(ভাইয়া তো সেই রেগে আছে)
::::
:::;
আর এদিকে কবিতা হাসপাতালে আসার পর,,,,ওর বাবা ঙ্গান ফেরে,,,,
:-ডাক্তার সাহেব,,,,,(কবিতা ডাক্তারকে ডাকছে ওর বাবা ঙ্গান ফিরেছে বলে)
(ডাক্তার সাহেব,,,রুমে আসলো,,,আর কবিতার বাবার সাথে আস্তে আস্তে কথা বলছে,,,,
:-এখন কেমন লাগছে,,,আপনার!! (ডাক্তার)
:-হুমমমম,,,,ভালো!! (খুবই আস্তে)
:-আপনার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়ে গিছিলো,,,,যদি সময় মতো ঔই ছেলেটি রক্ত না দিতো,,,তাহলে আপনাকে বাঁচানো সম্ভব হতো না? (ডাক্তার)
:-কে সে? (কবিতার বাবা)
:-আরে ছেলেটি,,,কবিতার বন্ধু!! (কবিতার মা)
:-হুমমমম,,,,ছেলেটি তো তাই বললো!! (ডাক্তার)
:-ছেলেটির নাম কি,? (কবিতার বাবা)
:-কিরে,,,কবিতা বল? নাম কি,?  (কবিতার)
:-মাহ্,,,,আমার তো কোন ছেলে বন্ধু নেই,,,,(কবিতা)
:-তাহলে ছেলেটি বললো যে তোর বন্ধু!! (কবিতার মা)
:-কি জানি,!! (কবিতা)
:-ওহো,,,,একটি কথা যে ছেলেটি রক্তি দিছিলো,,সেই ছেলেটি এখন এই হাসপাতালে ভর্তি!! (ডাক্তার)
:-কিহ্হ্,,,,ছেলেটির কি হলো!! (কবিতার মা)
:-ছেলেটিকে কে যেন? মেরে রাস্তায় ফেলে গিছেলো,,,,আমি তো এতোক্ষণ ছেলেটি দেখে আসলাম!! (ডাক্তার)
:-কিহ্হ্,,,তাহলে চলো,,,ছেলেটিকে দেখে আসি!! (কবিতা)
:-হুমমম,,,চলো!! (কবিতার মা)
:-আমিও যাবো! (কবিতার বাবা)
:-কিন্তু তুমি তো অসুস্থ!! (কবিতার মা)
:-সমস্যা নেই,,,নিয়ে যাওয়া যাবে! (ডাক্তার)
:-ওকে তাহলে চলো! (কবিতা)
::::
::::
আমি আর টিপু ভাইয়া,,,রুমে কথা বলছিলাম,,,,তখন কবিতারা আমার রুমে ঢুকলো,,,,,
:-তোমার ঙ্গান ফিরলো কখন? (ডাক্তার)
:-এই তো একটু আগে? (ভাইয়া)
:-আরে টিপু,তুমি? (মন্ত্রী মানে কবিতার বাবা)
:-হুমমমম,,,,,,আপনার শরীর কেমন আছে? (ভাইয়া)
(কবিতা আমাকে দেখে,,,অবাক চোখে তাকিয়ে আছে,,,,,,)
:-এখন,,,ভালো আছে!! তবে ভালো থাকতো না,,,,যদি এই ছেলেটি না থাকতো!! (কবিতার বাবা)
:-কিহ্হ্,,,আমার ভাই আবার কি করলো? (ভাইয়া)
:-আরে,,,ঔই তো রক্ত দিয়ে,,,উনাকে  বাঁচিয়েছে!! (ডাক্তার)
:-হুমমমম,,,,,এই ছেলেটিই রক্ত দিছে!! (কবিতার মা)
:-কিহ্হ্,,,,ও আপনাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছে?  (ভাইয়া)
:-হুমমম,,,,,এই ছেলেটিই তো দিলো রক্ত,,,,বললো কবিতার বন্ধু!! কবিতার মা)
:-ওহো,,,,তাহলে ঠিক আছে!!  সব কিছু,ঠিক আছে! (ভাইয়া)
:-আপনারা কথা বলুন,,, আমি আসি!! (এই বলে ডাক্তার চলে গেলো)
(কবিতা অবাক চোখে,, আমার দিকে তাকিয়ে আছে!! কবিতা হয়তো ভাবতেও পারছে না,,,,আমি ওর বন্ধু পরিচয় দিয়ে,,,ওর বাবাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছি!! আর আমি এই মহান মানুষকে মেরে হাসপাতালে পাঠালাম,,,,কবিতা করুণ চোখে,,,ক্ষমার দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে!! আর আমি কবিতার দিকে তাকিয়ে আছে)
:::
:::
:::
:-আচ্ছা,,,,তুমি কিসের ঠিকের কথা বললে? (কবিতার মা)
:-আপনারা কি জানেন,,,ওকে এই অবস্থা কে করেছে,,,? (ভাইয়া)
:-প্লিজ,,,ভাইয়া চুপ করো? (আমি)
:-তুই চুপ কর!! আমাকে কিছু করতে বারণ করেছিস,,,আমি কিছু করেনি,,,এতো কিছু হওয়ার পর,,,এখন আমি বলবোই!! (ভাইয়া)
:-কি বলবে বলো? আর ওকে এই অবস্থা কে করেছে? (কবিতার বাবা)
:-সে আর কেও না,,,আপনাদের মেয়ে #কবিতা (ভাইয়া)
:-কিহ্হ্,,,কবিতা!! (কবিতার বাবা-মা দুজনে একসাথে)
:-হুমমম,,,,কবিতা!!
এর আগেও একবার কবিতা ওকে বিনাকারণে মেরে হাসপাতালে সাতদিন ভর্তি ছিলো!! আবার আজকে,,,যখন!! ও আপনাকে রক্ত দিয়ে বাসায় যাচ্ছিলো,,,তখন আপনাদের মেয়ে ওকে মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়! (ভাইয়া)
:-কি বলছো তুমি!! (কবিতার মা)
(কবিতা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,,,,কবিতা আজ অপরাদবোধ করছে,,,,যে ছেলেকে ও এতো দিন ধরে মারলো,,অপমান করলো,,সে ছেলে কিনা বন্ধু,পরিচয় দিয়ে ওর বাবাকে বাঁচালো!! আমি তার শত্রু জেনেও)
::
:-হুমমমম,,,,আমি ঠিকই বলছি,,,,,
আপনার মেয়ে সেই প্রথম থেকে,,,আপনাদের মেয়ে,,,ওর সাথে,,,,,,,,,,,,(তারপর সবকিছু ভাইয়া উনাদের খুলে বললো)
:-কি বলো তুমি এগুলো 😲😲 (অবাক হয়ে কবিতার মা বাবা)
:-বিশ্বাস না হলে,,,,আপনার মেয়েকে জিঙ্গাসা করুন? (ভাইয়া)
::::::
তারপর কবিতার মা উঠে গিয়ে,,,কবিতার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,,,,
:-কিরে,,,,উনি যা বলবো সব কি সত্যি?  (কবিতার মা)
:-না মানে!! মা (কবিতা)
:-সত্যি কথা বল?
:-হুমমম,,,,উনি যা বলছে সব সত্যি 😢 (কবিতা)
:-ঠাসসসসসসস,,ঠাসসসস,,,,,(কবিতার মা থাপ্পড় মারলো কবিতাকে)
:-.....😭😭 (কবিতা কান্না করে দিছে,,,,কারণ কবিতা কখনো ওর বাবা মার কাছে মার খায়নি)
:-ছি্ছি্ছি্,,,তুই এতো খারাপ!!  আমার মেয়ে এতো খারাপ হয়ে গিছে!!
তোকে আমরা এই শিক্ষা দিয়েছিলাস যে,,,,গরীব মানুষকে মানুষ মনে না করা!!  😡 (কবিতার মা)
:-আন্টি!! ওকে কিছু বইলেন না,,,,কবিতা এতোদিন একটি অহংকারের মধ্যে ছিলো,,,যা এখন ওর নেই!! (আমি)
:-নাহ্,,,বাবা,,,,আমার ঘৃণা হচ্ছে নিজের প্রতি এটা ভেবে,,,ওর মতো মেয়েকে আমি পেটে ধরেছি!! (কবিতার মা)
:-মাহ্,,,😭😭😭 (কবিতা)
:-কে তোর মা!! আমাদের কোন মেয়ে নেই,,,আমাদের মেয়ে এতো খারাপ হতে পারে না!! (কবিতার মা)
:-মাহ্,,আমাকে মাফ করে দেও,,,আমি ভুল করে ফেলেছি!! (কবিতা ওর মায়ের পাঁ ধরে)
:-ক্ষমা আমার কাছে চেয়ে লাভ নেই,,,,,,,যার সাথে বাজে ব্যবহার করেছিস,,,,তার পাঁ ধরে ক্ষমা চা যা? (কবিতার মা)
:-........😭😭 (কান্না ভেজা চোখে,,,কবিতা আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো,,,,,)
:-কি হলো দাঁড়িয়ে আছসি কেন? যা ওর পাঁ ধরে ক্ষমা চাঁ?  (কবিতার মা)
(তারপর কবিতা ধীরে ধীরে আমার কাছে আসতে লাগলো কান্না করতে করতে)
::::
:::
:::
:::
#চলবে
::::
::::
::::
বি.দ্র.ভুলত্রুটি হলে মাফ করবেন!! সারা পেলে পরের পোষ্ট গুলো পড়তে পারেন এবং বেশি করে শেয়ার করুন।

No comments:

SK Make Money